উপসর্গ নেই বান্দরবানের তাবলিগ ফেরত করোনা রোগীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ৪১ জন সন্দেহজনক রোগীর করোনাভাইরাসের নমুনা টেস্ট হয়েছে। এদের মধ্যে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার এক বৃদ্ধের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তিনি সম্প্রতি তাবলিগের চিল্লা শেষে খুলনা থেকে ঢাকা হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। তার মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা না দিলেও শুধু বাইরে থেকে আসায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার সঙ্গে পরীক্ষা করা বাকি ৪০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

৬৫ বছর বয়সী তাবলিগ ফেরত ওই বৃদ্ধের বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কুলালপাড়া গ্রামে। তার শরীরে এখনও করোনার কোনো উপসর্গ নেই। তাবলিগ ফেরত বলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তার সঙ্গে আরও ৫ জন তাবলিগ থেকে ফিরেছেন। তাদেরও কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে এবং তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

এদিকে তাবলিগ ফেরত ওই বৃদ্ধের করোনা পজিটিভ আসার খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কুলালপাড়ার সবকটি বাড়ি এবং এলাকা লকডাউন করেছে।

ওই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিম উদ্দিন জানান, মাত্র তিনদিন আগেই ওই বৃদ্ধ তাবলিগ শেষে বাড়ি ফেরেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলেও রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা ১৫-২০টি বাড়ি নিয়ে গড়া কুলালপাড়ার সবকটি বাড়িই লকডাউন করা হয়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানিয়েছেন, চালু হওয়ার ১৬ দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৯১ জন সন্দেহজনক রোগীর করোনা টেস্ট হয়েছে। যাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার তাবলিগ ফেরত নাইক্ষ্যংছড়ির একজনের রিপোর্টই কেবল পজিটিভ পাওয়া গেল।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. রুপস পাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানান, বুধবার (১৪ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরসহ জেলার ৮ উপজেলা ও পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ফ্ল্যু সেন্টার থেকে মাত্র ৪১ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নাইক্ষ্যংছড়ির একজন ছাড়া অন্য সবার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, কক্সবাজার ল্যাবে প্রতিদিন ৯৬ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা পর্যায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা আসছে না। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা করা ৪১টি নমুনারই প্রতিবেদন ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।