টাঙ্গাইলে একই পরিবারের চারজনসহ করোনায় আক্রান্ত ২১

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২০

টাঙ্গাইলে নতুন করে একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মুঠোফোনে পাঁচজনের নমুনা পজিটিভ থাকার কথা জানানো হয়। এদের মধ্যে সখীপুরে একই পরিবারের চারজন ও গোপালপুরে আরও একজন রয়েছেন। আক্রান্ত পাঁচজনই এখন পর্যন্ত সুস্থ ও নিজ বাড়িতে রয়েছেন। আজ তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট এক হাজার ৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ২১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেল। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান জানান, গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার লাঙ্গুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। করোনা ধরা পড়ার ১৯ দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে চলে এসেছিলেন। তারপরও দুইদিন ধরে হালকা জ্বর থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই গত ২২ তারিখে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ সংস্পর্শে এসেছে এমন ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আইইডিসিআরে তাদের নমুনা পাঠানো হলে সেখান থেকে চারজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

তারা হলেন- ওই ব্যক্তির স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাদের কারও করোনার কোনো লক্ষণ নেই। তারপরও তাদের নিজ বাড়িতে আপাতত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

এদিকে জেলার গোপালপুরে এক নারী (২০) গার্মেন্টস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আলীম আল রাজি জানান, আক্রান্ত ওই নারী ঢাকার একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। তিনি গত কয়েকদিন আগে গোপালপুরের ধোপাকান্দি ইউনিয়নের কামদেব বাড়ি এলাকার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। গত ৪-৫ দিন ধরে তার হালকা জ্বর থাকায় বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান।

পরে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার সকালে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই তার নমুনা পজিটিভ থাকার কথা জানানো হয়। তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তার বাড়ি ও আশপাশের এলাকা লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।