করোনায় কপাল পুড়েছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০

মাস খানেক হলো ব্যবসা শিঁকেয় উঠেছে মেহেরপুরের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। মহামারি করোনার বিস্তার ও প্রভাব প্রতিরোধে সরকার ফুটপাতের ব্যবসায়ীসহ সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে অন্যান্য দোকানপাট সাময়িক খোলা থাকলেও পুরোপুরো বন্ধ রয়েছে ফুটপাতের দোকানগুলো। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন এসব দোকান মালিকরা।

মহামারি করোনা দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর খাবার, কাঁচামাল ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। কপাল পোড়ে চায়ের দোকানসহ ফুটপাতের কারিগরদের। বিপাকে পড়েন তারা। দোকান খুলতে না পারায় তাদের চুলাও আর জ্বলে না।

গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে ফুটপাতের চায়ের দোকানি আশা বেগম জানান, তার স্বামী একজন মোটর শ্রমিক। সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানো আর মেয়ের লেখাপড়া করানো সম্ভব হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে একটা চায়ের দোকান খুলে বসেন। কোনো রকম সংসার চলছিল। কিন্ত মাস খানেক হলো করোনার কারণে দোকানটি বন্ধ করেছে প্রশাসন। সরকারি কোনো সহযোগিতাও পাননি তিনি।

ফুটপাতের কারিগর বজলুর রহমান জানান, নিজস্ব দোকান নেই তাই রাস্তার পাশে চট বিছিয়ে ছাতা, টর্চলাইট মেরামত ছাড়াও নষ্ট তালা চাবি মেরামত করতেন। এখান থেকে যে আয় হতো তা দিয়ে সংসার চলতো। এখন মহামারীর কারণে ফুটপাতের ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে গেছে।

একই কথা জানালেন চায়ের দোকানি রফিকুল ইসলাম, জেনারুল ও মোখলেছ।

ফুটপাতের হোটেল ব্যবসায়ী মিনা কুমারী জানান, স্বামীর সঙ্গে তিনি রাস্তার পাশে হোটেল খুলে বসেন। কোনো রকম দিন পার হচ্ছিল। কিন্তু সেটি বন্ধ হওয়ায় মহাসংকটে পড়েছেন তারা। সরকারি সহযোগিতা পাননি আবার এমন কোনো অর্থ নেই যা দিয়ে সংসার চালাবেন।

জেলা প্রশাসক আতাউল গণি জানান, পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হবে। সকলের প্রচেষ্টায় করোনা মোকাবেলা করতে হবে।

আসিফ ইকবাল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।