বরগুনায় ৫ জনের করোনা জয়, বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০

বরগুনায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও পাঁচজন রোগী সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বুধবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন থাকা চারজনকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের বরগুনা জেলা পুলিশের নিজস্ব পরিবহনে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।

এছাড়া অপর একজন ছিলেন তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তিনিও সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে আজ থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়েছেন। আর এ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ১৮ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার যে ৫ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন তাদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি বামনা উপজেলায় এবং তিনজনের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। এ পাঁচজনের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।

বামনার যে দুজন ছাড়পত্র পেয়েছেন, তাদের বয়স ৫২ বছর এবং ৪৫ বছর। সদর উপজেলায় যারা ছাড়পত্র পেয়েছেন, তাদের বয়স ৪৫ বছর, ৬৬ বছর এবং ৭০ বছর।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের প্রধান চিকিৎসক কামরুল আজাদ বলেন, যথাসময়ে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা পাওয়ায় তারা সুস্থ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, উপসর্গ অনুযায়ী আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের সংস্পর্শে থেকে চিকিৎসা দিয়েছি। তবে আমরা সব থেকে বেশি যা করেছি, তা হলো তাদের মানসিকভাবে সাহস জুগিয়েছি। ভেঙে পড়তে দেইনি। সবসময় উৎসাহ দিয়েছি।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি রোগীদের সাধ্যমতো সেবা দেয়ার। করোনাভাইরাসের নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও লক্ষণ দেখে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। সার্বক্ষণিক তাদের নজরদারিতে রেখেছি। এসব কারণে আমরা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এ কৃতিত্ব বরগুনার সব চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর।

বরগুনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন নারী এবং অন্যরা পুরুষ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন দুজন।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।