বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ, রোগীদের পাশে পল্লী চিকিৎসক
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকরা।
এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকরা। করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ছাড়াই রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তারা। এতে চিকিৎসক, রোগীসহ সাধারণ মানুষও করোনা ঝুঁকিতে পড়ছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর এলাকায় দেখা যায়, পল্লী চিকিৎসক আকতারুল ইসলাম সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই চিকিৎসা দিচ্ছেন রোগীদের। তার চেম্বারে রয়েছেন আরও ৮-১০ জন রোগী। সরাসরি চেম্বার কক্ষেই ভিড় করে বসে আছেন রোগীরা।
পল্লী চিকিৎসক আকতারুল ইসলাম বলেন, চেম্বার ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমাকে রোগী দেখতে হয়। গড়ে প্রতিদিন ২০টি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে কোনো সহায়তা, সুরক্ষা উপকরণ দেয়া হয়নি আমাদের।
সাতক্ষীরা পল্লী চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার তিন হাজারের বেশি পল্লী চিকিৎসক। জেলার শতকরা ৮০ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন পল্লী চিকিৎসকরা। করোনা মোকাবিলায় সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের দিকে নজর রাখছে না।
পল্লী চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ রোগীর জ্বর, ঠান্ডা, কাশি রয়েছে। তবে পল্লী চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ রোগী পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পল্লী চিকিৎসকসহ সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে চিকিৎসা দিতে বলেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পল্লী চিকিৎসকদের জন্য কোনো সুরক্ষা উপকরণ দেয়া হয়নি।
আকরামুল ইসলাম/এএম/এমএস