মানুষের ভিড়ে পা ফেলা দায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে
করোনা ঝুঁকির মধ্যেই কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী ও ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্তও ঢাকামুখী মানুষের চাপ রয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকেও মানুষকে ফিরতে দেখা গেছে। ঘাটে লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে রয়েছে বাড়তি চাপ।
সরেজমিনে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিতে নদী পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে পারাপারের প্রতিযোগিতা। সকাল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড়ে যেন পা ফেলা দায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সতর্ক থাকলেও পদ্মা নদীর কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে যেন পারপারের প্রতিযোগিতায় লেগেছে হাজার হাজার মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ৪/৫টি ফেরিতে সীমিত আকারে যানবাহন পার করা হচ্ছে। ঢাকার গার্মেন্টসগুলো খোলার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্পভাবে ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে করেই নদী পার হচ্ছেন তারা। তবে যাত্রীদের সঙ্গে প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবাদানকারী যানবাহনও পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে চলমান ১৭টি ফেরির মধ্যে ২টি রোরো, ২টি ডাম্প, ২টি কে ধরন ও ১টি মধ্যম ফেরিন মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। সকাল থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আজ ৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে।
নাসিরুল হক/এফএ/এমকেএইচ