হাসপাতালে কিডনির পাথর অপসারণ করতে এসে করোনায় আক্রান্ত
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আরেক রোগীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে দুই দফায় চিকিৎসাধীন দুই প্রসূতির করোনা শনাক্ত হয়।
এবার শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি পুরুষ। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ওই রোগীর সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা গ্রামের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
রোববার (০৩ মে) ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। সোমবার (০৪ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
তিনি বলেন, শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিকে রোববার রাতেই সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার হাটখোলা গ্রামের ওই ব্যক্তি গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) কিডনির পাথর অপসারণের জন্য ওসমানী হাসপাতালের ইউরোলজি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তবে তার ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকায় অস্ত্রোপচারের পূর্বে ডায়ালাইসিস করানোর প্রয়োজন হয়। হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগ ডায়ালাইসিস করাতে গিয়ে রুটিনমাফিক করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করলে রোববার রাতে তার করোনা পজিটিভ আসে। শনাক্ত হওয়া রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিলে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইউরোলজি বিভাগের ১২ জন চিকিৎসক ও সেবক-সেবিকাসহ প্রায় ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং এই বিভাগের অন্য রোগীরাও এই রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন।
তবে হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, এই রোগীর সংস্পর্শে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীলা এসেছেন তাদের যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষাসামগ্রী ছিল। তাই তাদের কাউকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে না।
এদিকে, সিলেট বিভাগে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মোট দুই হাজার ৬৫৯ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৭১ জন, সুনামগঞ্জে ১৫১৩ জন, হবিগঞ্জে ৫২৭ জন ও মৌলভীবাজারে ৩৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে আনা হয় ২০৬ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫২ জন।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমএস