সবকিছু খুলে দেয়া হলেও গণপরিবহন চালু হয়নি কেন?
সাভারে আর্থিক সহযোগিতা ও সরকারি প্রণোদনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। বুধবার (০৬ মে) সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় শ্রমিকরা সড়কে শুয়ে গণপরিবহন বন্ধের প্রতিবাদ জানান।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রায় দেড় মাস ধরে গণপরিবহন বন্ধ। দেড় মাসে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি তারা। এর আগেও ত্রাণের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। তারপরও কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি তারা। এ অবস্থায় পেটের ক্ষুধায় আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন শ্রমিকরা।
গ্রামীণসেবা পরিবহনের চালক মামুন মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগ থেকে আমাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের আইন মেনে ঘরে বসে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করলেও শ্রমিক নেতা, জনপ্রতিনিধি এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন অনুদান পাচ্ছি না। সড়কে গণপরিবহন ছাড়া অন্যান্য পরিবহন ঠিকই চলাচল করছে। সবকিছু খুলে দেয়া হলেও গণপরিবহন চালু করা হয়নি কেন?। আমাদের দাবি হয়তো সরকার অবিলম্বে আমাদের গণপরিবহন চালুর করে দেবে অথবা খেয়েদেয়ে বাঁচার মতো ব্যবস্থা করবে।
ঠিকানা পরিবহনের চালক ইকবাল বলেন, এলাকায় সীমিত পরিসরে জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ দিলেও আমরা অন্য জায়গার ভোটার হওয়া কিছুই পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে আমরা পরিবার নিয়ে না খেয়ে কষ্টে আছি। সরকার আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করুক; না হয় আমাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেক।
বিক্ষোভ নিয়ে শ্রমিকরা রাস্তায় শুয়ে পড়লে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত গাড়ি থাকায় যাটজটের সৃষ্টি হয়। পরে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আহাদ হোসেন বলেন, গণপরিবহনের শ্রমিকরা সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা ও গাড়ি চালানোর অনুমতি চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কিছু শ্রমিক রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আল-মামুন/এএম/এমএস