নালিমের পিস ৫ টাকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১০ মে ২০২০

গত বছরের তুলনায় এ বছর মাগুরা জেলায় বাঙ্গি জাতীয় ফল নালিমের চাষ ভালো হলেও লোকসান গুনছেন চাষিরা। রমজান মাসে চাষিরা একটু লাভের আশা করলেও এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে উৎপাদিত নালিম মাগুরা জেলার বাইরে পাঠানো পারছেন না। যে কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।

সদর উপজেলার ডেপুলিয়া গ্রামের নালিম চাষি মিন্টু বলেন, প্রতি বছর রমজান মাসকে উপলক্ষ করে নালিমের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে এবার রোজার অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও করোনার কারণে তারা এখনও আশানুরূপ নালিম বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নালিম।

টেঙ্গাখালী গ্রামের অপর এক নালিম চাষি মজনু মিয়া বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নালিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে নালিমের ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার পরিস্থিতি মন্দা হওয়ায় উৎপাদিত নালিম মাঠে পচে যাচ্ছে।

ইছাখাদা গ্রামের নালিম চাষি হেকমত হোসেন জানান, এ বছর তিনি লিজে দুই বিঘা জমিতে নালিম চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতে তিনি নালিম বিক্রি করতে পারছেন না। করোনাভাইরাসের কারণে উৎপাদিত ফসল ঢাকার পাইকারদের কাছেও বিক্রি করতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি পিস নালিমের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের পাইকারদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর মাগুরা জেলায় ১৮২ হেক্টর জমিতে নালিম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ইছাখাদা, আঠারোখাদা, শিবরামপুর ও টেঙ্গাখালী এলাকায় নালিমের চাষ বেশি হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে নালিম চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রত্যায়নপত্র দিচ্ছে। যাতে নালিম চাষিদের ঢাকা যাওয়ার পথে কোনো সমস্যা না হয়।

আরাফাত হোসেন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।