করোনার ভয় নেই, চাকরি বাঁচাতে ছুটছে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১১ মে ২০২০
ফাইল ছবি

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে কর্মস্থলে ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর উদ্দেশে আসা শ্রমজীবী মানুষের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে গণপরিবহনের অভাবে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ চলমান এই পরিস্থিতির ন্যূনতম কোনো পরিবর্তন হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মী। পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দোকানপাটের সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের পরিবারও রয়েছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে তারা এপারে আসছেন। আবার ঘাট পার হয়েই পড়ছেন পরিবহন সংকটে। আর এ সুযোগে অসাধু কিছু ছোট পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তাদের কাছ থেকে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্নভাবে ভেঙে ভেঙে তাদের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসতে হয়েছে। কেউ কেউ মধ্যরাত থেকে হেঁটে ভোরে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছান। কেউবা ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ঘাটে অন্য কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এরপর বিভিন্ন ছোট যানবাহনে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। রোজামুখে এভাবে চলাচল খুবই কষ্টকর।

দুঃখ প্রকাশ করে এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজে যোগদান করতে হচ্ছে। একেতো যানবাহন সংকট তারউপর ভাড়া বেশি। আমরা কী করব বলেন, পেট চালাতে হবেতো। এখন আর করোনার ভয় নেই। এখন চাকরি হারানোর ভয়।

তিনি বলেন, কোম্পানির কর্মকর্তা ফোন করে বলেছেন কাজে দ্রুত যোগদান করতে। তা না হলে চাকরি থাকবে না। চাকরি না থাকলে বকেয়া বেতনের বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শ্রমজীবী মানুষ সকাল থেকে ফেরি পার হচ্ছেন। বর্তমানে নৌরুটে দশটি ফেরি চলাচল করছে। এদিকে গণপরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে ঘাটে আসা যাত্রীরা।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।