নওগাঁয় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও চারজনের করোনা পজিটিভ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ১৪ মে ২০২০

নওগাঁয় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেলে দুই দফায় ২০৬ জনের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

করোনা পজিটিভ আসা নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, ২ এপ্রিল গ্রামের বাড়ি পাবনায় যাই। সেখান থেকে ২৬ এপ্রিল কর্মস্থল নওগাঁয় আসি। নওগাঁয় আসার পর পুলিশ লাইনসের কোয়ারেন্টাইনে আছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশনা যারা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরবেন বাধ্যতামূলক তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর মধ্যে ১০ মে শরীর ব্যথা ও জ্বর শুরু হয়। নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার পর কিছুটা শরীর ব্যথা ও জ্বর কমে আসে। ১১ মে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ।

তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় দিনে কয়েকবার করে লেবুর শরবত, গরম পানি ও চা খাচ্ছি। বর্তমানে কোনো ধরনের সমস্যা বুঝতে পারছি না। তবে শরীরটা দুর্বল। গ্রামে আমার পরিবারের সদস্যদের কোনো ধরনের সমস্যা নেই বলে শুনেছি।

নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর এ মোর্শেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই দফায় ২০৬ জনের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই), পত্নীতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও কনস্টেবল এবং নিয়ামতপুর থানার এক নারী রয়েছেন। ওই নারী নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি নিয়ামতপুরে এসেছেন। করোনা শনাক্তরা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায়ই সন্দেহমূলক সবার নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছি। নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্ট আসতে কয়েকদিন সময় লাগে। এই সময়টুকু হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। করোনায় আক্রান্তরা শতকরা ৮২ ভাগ হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে সুস্থ হয়ে যান। যদিও একটু জ্বর-সর্দি থাকে।

এ পর্যন্ত জেলায় ৭৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আব্বাস আলী/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।