ভৈরবে করোনার উপসর্গ নিয়ে এবার সবজি বিক্রেতার মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এবার জানে আলম (৩৮) নামে সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়।
জানে আলম শহরের চন্ডিবের এলাকার মো. মনসুর আলীর ছেলে। তিনি ভৈরব মেঘনা ফেরিঘাট এলাকায় সবজি বিক্রি করতেন।
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, জানে আলম গত কয়েকদিন যাবত জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তবে তিনি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে সেবন করেন। এরই মধ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের ডাক্তাররা তার অবস্থা দেখে চিকিৎসা না দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বাসায় নেয়া হলে রাতে তার মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয় চন্ডিবের এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও ওই ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে একবারও যোগাযোগ করেননি। মৃত্যুর পর খবর পেয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে বুধবার (২০ মে) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন কিনা।
এর আগে গত ১৫ মে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী অমিও দাস করোনার উপসর্গে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার বাড়ি চন্ডিবের দক্ষিণপাড়া এলাকায়। তার মৃত্যুর আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
ডা. বুলবুল আহমেদ আরও জানান, বুধবার উপজেলার আরও একজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। গত দেড় মাসে ভৈরবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৪৭ জন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লুবনা ফারজানা জানান, ভৈরবের মানুষ অসচেতন হওয়ার কারণেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এত প্রচার করা সত্ত্বেও কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না।
আসাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর/পিআর