কিসের করোনা আতঙ্ক, ১০ মিনিটেই ফেরি ফুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ৩০ মে ২০২০

টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার (৩১ মে) থেকে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহনও। এ অবস্থায় চাকরির ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার (৩০ মে) কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল নেমেছে।

শনিবার শেষ হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত টানা ৬৬ দিনের ছুটি। এটিই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ছুটি। এ ছুটির অবসানের ফলে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে রোববার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামছে গণপরিবহনও।

অফিস খোলার খবরে চাকরির ডাকে সাড়া দিয়ে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত নামে। কাঁঠালবাড়ির ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই সকাল থেকেই ভিড় জমাতে থাকে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। যাত্রীদের চাপ দেখে দুটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া নৌরুটের যাত্রী চাপ সামাল দিতে আরও দুটি ফেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে এই রুটে মোট ১৭টি ফেরি এখন চলাচল করছে। শনিবার প্রতিটি ফেরিতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে যাত্রীদের।

ফেরি এসে ঘাটে ভিড়লেই ১০ মিনিটে ভরে যায়। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘাটে আসা যাত্রীরা মানছে না সামাজিক দূরত্ব। ফলে করোনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

feri

বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা যে যেভাবে পারছেন ফেরিতে উঠে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কারও বাধা-নিষেধ মানতে চাইছে না যাত্রীরা। পুলিশ সকাল থেকে ঘাটে দায়িত্বপালন করছে। মানুষের চাপে স্বল্প সংখ্যক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। যাত্রীদের চাপে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেনকে কখনও ফেরির পন্টুন কখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে।

ফেরির চালক ও কর্মচারীরা জানান, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ফেরিগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচলের কারণে ফেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বা অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের প্রয়োজনে লকডাউন দেয়া হলেও সবসময়ই ফেরি চলাচল অব্যাহত রাখা হয়।

কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার আবদুল আলীম বলেন, গত তিনদিন ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট যানবাহনে হাজার হাজার যাত্রী কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসছেন। যাত্রীদের চাপে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের গুনতে হয় পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি ভাড়া। এই নৌ-রুটে গত আড়াই মাস ধরে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। বাকি পাঁচটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকলে সেগুলো ছাড়ার কথা রয়েছে। ঘাট এলাকায় পুলিশ, আনসার ও নৌ-পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।

এ কে এম নাসিরুল হক/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।