মুন্সিগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭শ ছাড়াল, মৃত্যু ১৯

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ৩০ মে ২০২০

মুন্সিগঞ্জ নতুন করে আরও ৪৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭০৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯৮ জন। আর মারা গেছেন ১৯ জন।

শনিবার (৩০ মে) বিকেল ৫টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৮ ও ২৯ মে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ১৮৪ জনের রিপোর্ট এসেছে। এতে ৪৪ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩৯ জন, সিরাজদিখানের একজন , লৌহজংয়ের একজন ও শ্রীনগর উপজেলার তিনজন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না । সব ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জের পাশ্ববর্তী জেলা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ হওয়ার কারণে জেলায় দ্রুত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, আশার কথা হচ্ছে যারা পূর্বে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। বাকিদের অবস্থাও ভালো। এছাড়াও জেলায় মৃত্যুর হার কম রয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই বয়স্ক। সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যাও কমে আসবে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার ৩২ জনসহ জেলার এখন পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ১৫৩ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৮৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৩৫০ জন, টঙ্গীবাড়ীতে ৪৩, সিরাজদিখানে ৯৯, শ্রীনগরে ৬৫, লৌহজংয়ে ৬৮ এবং গজারিয়া উপজেলায় ৭৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে একজন স্বাস্থকর্মীসহ ১৩ জন, টঙ্গীবাড়ীতে তিনজন ও শ্রীনগর উপজেলায় একজন ও লৌহজং উপজেলায় দুইজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।