অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রাজশাহী থেকে ছাড়লো বনলতা, তবুও হুড়োহুড়ি
অর্ধেক যাত্রীতেই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী একমাত্র বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস উঠতে হুড়োহুড়ি করেছেন যাত্রীরা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আগে থেকে বৃত্ত আঁকা থাকলেও অনেকেই মানেননি সেটি। করোনা পরিস্থিতিতে টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর রোববার (৩১ মে) সকাল ৭টায় ঢাকার
উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বনলতা এক্সপ্রেস।
জানা গেছে, ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই যাত্রীরা রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। জীবাণুনাশক কক্ষের ভেতর দিয়ে একে একে তাদের প্ল্যাট ফরমে প্রবেশ করানো হয়। প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে মাপা হয় শরীরের তাপমাত্রা। টিকেট চেকও করা হয়েছে শারীরিক দূরত্ব মেনেই। এছাড়া যাত্রা শুরুর আগে পুরো ট্রেনে ছেটানো হয় জীবাণুনাশক।
আগে থেকেই মাস্ক পরে যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন প্ল্যাট ফরমে। তবে অধিকাংশ যাত্রীই মানেননি শারীরিক দূরত্ব। যদিও বিষয়টি দেখভালে ছিলেন রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মী ও ভিজিলেন্স টিম।
যাত্রী সাধারণের অজ্ঞতার কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম। তিনি বলেন, করোনা মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। যাত্রী সাধারণ যদি নিজেরা নিজেদের সুরক্ষিত না রাখেন তাহলে আমরা যাই করি কাজে আসবে না। আমরা শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বৃত্ত এঁকে দিয়েছি। কিন্তু জনগণকে অনেক সময় আটকানো যাচ্ছে না। প্ল্যাট ফরমে এসে যে যার মত ঘোরাফেরা করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ঠেকাতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে ৪৯৭ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে বনলতা এক্সপ্রেস। দুটি আসন রয়েছে কোয়ারেন্টাইনের জন্য। নির্ধারিত ৯৮৯ আসনের মধ্যে করোনার কারণে অর্ধেক যাত্রী নেয়া হয়েছে। শতভাগ টিকেট ছাড়া হয়েছে অনলাইনে। আগামী ২ জুনের সব টিকেটও বিক্রি হয়ে গেছে। ৩ জুনেরও অর্ধেক শেষ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের রেল ভ্রমণে উৎসাহিত করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার (৩০ মে) বিকেল থেকে অনলাইনে শুরু হয় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের টিকিট বিক্রি। প্রথম দফায় রাজশাহী-ঢাকা রুটের বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা), লালমনি এক্সপ্রেস (লালমনিরহাট-ঢাকা) ও চিত্রা আন্তঃনগর এক্সপ্রেস (খুলনা-ঢাকা) ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও চলাচলের জন্য পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে শতভাগ টিকিট অনলাইনেইে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চারটি ট্রেনের টিকিট মিলছে। এসব ট্রেন আগের সময় অনুযায়ী গন্তব্যে যাবে এবং আবার নির্ধারিত স্থানে ফিরে আসবে।
আরএআর/পিআর