মির্জাপুরে দিনে ১০ জনের বেশি মানুষের নমুনা সংগ্রহে না

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ০৭ জুন ২০২০
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রতিদিন করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত শুক্রবার (৫ জুন) ও শনিবার (৬ জুন) দুদিনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এ উপজেলায় মোট ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে করোনা পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান, মা, বাবাসহ কাছাকাছি বসবাসকারীদের নমুনা সংগ্রহের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম জানিয়েছেন, তাদের প্রতিদিন ১০ জনের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশনা রয়েছে। তাদের ইচ্ছে থাকলেও এর চেয়ে বেশি ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার সুযোগ নেই।

জানা গেছে, ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মির্জাপুরের কাছাকাছি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় মানুষের চলাচল রয়েছে বেশি। এ উপজেলায় মোট ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। অধিকাংশ ব্যক্তিই মির্জাপুরের বাইরে থেকে আসা। এর মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন ও একজন মারা গেছেন। করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যসহ নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা নমুনা দিতে পারছেন না। ওইসব পরিবারে কয়েকজনের উপসর্গ থাকলেও প্রতিদিন এক উপজেলা থেকে ১০ জনের বেশি ব্যক্তির নমুনা না নেয়ার সুযোগ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

গত শনিবার (৬ জুন) করোনা পজিটিভ আসা সদরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, তিনি সাভার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে (নকলনবিশ) চাকরি করেন। উপসর্গ নিয়ে মির্জাপুরের বাসায় আসেন এবং জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে স্ত্রীসহ নমুনা দেন। শনিবার তাদের করোনা পজিটিভ আসে। তারা নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের দুটি বাচ্চা ও বৃদ্ধ মায়ের উপসর্গ রয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষা করানো খুবই প্রয়োজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সদরের করোনা পজিটিভ হওয়া আরেক ব্যক্তি তানভীর হোসেনের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে চলাফেরা করা দেওয়ান সুমি ছেলে-মেয়ে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেও নমুনা দিতে পারছেন না বলে জানান।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ শুরু থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাতো। এখন আর সেই সুযোগ নেই। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাদের প্রতিদিন ১০ জনের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইচ্ছে থাকলেও তারা এর চেয়ে বেশি ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে পারছেন না।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের এ রকম নির্দেশনা রয়েছে। আগামী ৮-১০ কার্যদিবসে জেলায় আরও ২০০ জনের নমুনা সংগ্রহের ক্যাপাসিটি বাড়ানো হবে।

এস এম এরশাদ/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।