আগের দিন পজিটিভ, পরদিনই রিপোর্ট এলো করোনা নেগেটিভ
জয়পুরহাটে সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে আরও ৫৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৫১১ জন, সুস্থ হয়েছেন ২০৭ জন। এরইমধ্যে এক সাংবাদিক দম্পতির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলেও একদিন পর আবারো পরীক্ষা করালে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এতে পরীক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরিতে পাঠানো ৩৯২ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট আসে মঙ্গলবার। এরমধ্যে ৫৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ১৭ জন, আক্কেলপুর উপজেলায় ৭ জন, কালাই উপজেলায় ২৬ জন ও পাঁচবিবি উপজেলায় ৭ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের আক্কেলপুরের গোপীনাথপুরে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ জুন সোমবার সাংবাদিক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা স্ত্রীসহ আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন। একদিন পর পহেলা জুলাই বুধবার জয়পুরহাটে আবারোও সাংবাদিক ওমপ্রকাশ পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন। এ সময় সাংবাদিক ওমপ্রকাশ ও তার স্ত্রীর সোমবারের রিপোর্টে দুজনের করোনা পজিটিভ আসে। কিন্তু পরে শুধু সাংবাদিক ওমপ্রকাশের দেয়া বুধবারের নমুনায় নেগেটিভ রিপোর্টে আসে। এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া সোমবারের নমুনা পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্টকে সঠিক দাবি করে বলেন, বুধবারের নমুনা সংগ্রহে কোনো ত্রুটি হতে পারে। যার কারণে নেগেটিভ এসেছে। করোনা পজিটিভ আসা ব্যক্তির কমপক্ষে ৮ দিনের আগে নেগেটিভ আসার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। বর্তমানে সাংবাদিক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা আক্কেলপুরের বাড়িতে থেকেই করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাশেদুজ্জামান/এফএ/জেআইএম