সিলেটের চার জেলায় আরও ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত
সিলেটে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। ৪ আগস্ট সিলেট বিভাগের চার জেলায় আরও ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৫৫ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে আরও ৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, মঙ্গলবার কলেজের ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৌলভীবাজারের ৪০ জন, হবিগঞ্জের ৮ জন, সিলেটের ৭ জন রয়েছেন।
এদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাম্মাদুল হক জানান, শাবির ল্যাবে মঙ্গলবার ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সিলেটের ১৫, হবিগঞ্জের ১৯ এবং সুনামগঞ্জ জেলার ১৮ জন বাসিন্দা রয়েছেন।
নতুন করে আক্রান্ত ১০৭ জন নিয়ে সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট হয়েছেন ৮ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪ হাজার ৪৩৫ জন, সুনামগঞ্জে এক হাজার ৫৩৫, হবিগঞ্জে এক হাজার ২১৬ এবং মৌলভীবাজারের এক হাজার ৪০ জন রয়েছেন।
এছাড়া সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৬২৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় এক হাজার ১২৫, সুনামগঞ্জে এক হাজার ১৫০, হবিগঞ্জে ৭৬৫ ও মৌলভীবাজারে ৫৮৩ জন। আর সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪৯ জন। সিলেট জেলায় ১১১, সুনামগঞ্জে ১৫, হবিগঞ্জে ১০ এবং মৌলভীবাজারে ১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেট জেলায় সুস্থতার হার কম এবং মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। সুস্থতার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ জেলায় সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী। যেখানে সিলেট জেলায় সুস্থতার হার মাত্র ২৫ শতাংশ।
অপরদিকে হবিগঞ্জে সুস্থতার হার প্রায় ৬৪ শতাংশ আর মৌলভীবাজারে ৫৮ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে সিলেট জেলায় মৃত্যুর হার ২.৮৫ শতাংশ, সুনামগঞ্জে .৯৮ শতাংশ, হবিগঞ্জে .৮৪ শতাংশ এবং মৌলভীবাজারে ১.৩ শতাংশ।
এদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক হাজার ৯ জন ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫৬ জন।
ছামির মাহমুদ/এমআরএম