মাগুরা মুক্ত দিবস আজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৫:১৭ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২০

৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিন মাগুরা পাকবাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন মাগুরা ও ঝিনাইদহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ফরিদপুর জেলার একটি অংশকে শত্রুমুক্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন।

এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তৎকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ পাক হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসরদেরকে কোণঠাসা করে ফেলে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যশোর থেকে পাকসেনাদের একটি অংশ তাড়া খেয়ে মাগুরায় পালিয়ে আসে। একপর্যায়ে মাগুরায়ও তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুবাহিনীকে মাগুরা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা মাগুরা ত্যাগ করে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যেতে বাধ্য হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়া এবং মোল­্লা নবুয়ত আলীর নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে।

পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের মাগুরা ত্যাগ মাগুরার জনতার মাঝে এনে দেয় প্রত্যাশিত স্বাধীনতা। এ সময় মুক্তিপাগল জনতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। এভাবেই ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মাগুরা হানাদারমুক্ত হয়।

মাগুরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে মাগুরায় সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মাগুরা জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মাগুরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনভর এসব কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় ব্ল্যাক আউটের মাধ্যমে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে
মোমবাতি প্রজ্বলন।

মাগুরার জেলা প্রশাসক ড.আশরাফুল আলম বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার মাগুরা মুক্ত দিবসের কর্মসূচি সীমিত আকারে গ্রহণ করা হয়েছে।

আরাফাত হোসেন/এমএসএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।