ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপাকে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নীলফামারীর ডিমলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিন দিন কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ডিমলায় সকাল ৬টায় আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ডিমলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহামুদুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহনগুলো।

এদিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টায় ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল থেকে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে রাতে ও সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো জেলা। ঠান্ডা বাতাস থাকার কারণে সকাল গড়িয়ে দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও তাপামাত্রা ছিল কম। ঠান্ডায় কাজে যেতে পারছেন না নিম্ন-আয়ের মানুষেরা।

jagonews24

এদিকে ডিমলা উপজেলার চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তিস্তাবেষ্টিত এসব এলাকার মানুষ চাহিদা অনুযায়ী শীতবস্ত্র পায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তুলনামূলকভাবে ডিমলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা।

ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে সরকারিভাবে চার হাজার ছয়শ কম্বল ও এক হাজার পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝুনাগাছ চাপানি গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম (৬০) বলেন, গত বছর পাতলা একটি কম্বল দিয়েছিল চেয়ারম্যান। এবার আশায় আছি কেউ যদি একটি ভালো কম্বল দিতো। তাহলে এবারের শীত কোনোরকমে কাটাতে পারতাম। আবুল কাশেমের মত তিস্তাপাড়ের অনেকেই শীতে বিপাকে পড়েছেন।

এসএমএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।