৪৫ বছরেও হয়নি মাদরাসার পাকা ভবন, ঝুঁকি নিয়েই ক্লাসে শিক্ষার্থীরা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাওক্ষীর গ্রামে ১৯৭৫ সালে পাঠদান শুরু হয় দক্ষিণ খাওক্ষীর মেহেদীয়া মাদরাসায়। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ফলাফল সন্তোষজনক। তবে প্রায় অর্ধশতাব্দীতেও সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় তেমন কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের উপযোগী কোন পরিবেশ নেই। বৃষ্টি হলেই পানি ওঠে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে। আবার উপর থেকে পানি পড়ে ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের বই-খাতা।
মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আলতাফ হোসেন জানান, মাদরাসাটি ১৯৭৫ সালে নুরানী শিক্ষাকার্যক্রমে চালু হয়। ১৯৯৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে দাখিল শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১ বছর পরে দাখিলের সরকারি স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৬ সালে শিক্ষার্থীরা এ মাদরাসা থেকে প্রথম দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই বছরই মাদরাসাটি সরকারি অনুদানভুক্ত (এমপিও) হয়। বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। দাখিল পরীক্ষায় প্রতি বছর প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে পরিচালিত হলেও কোন ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। সরকারি বরাদ্দে কোনো পাকা ভবন না থাকায় জড়াজীর্ণ টিনের ঘরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আর বসার পরিবেশ থাকে না।
এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা শামসুল হক জানান, মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার প্রায় অর্ধশত বছর পার হয়ে গেছে। ফলাফলও সন্তোষজনক। এরপরেও কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। তিনশ’র বেশি শিক্ষার্থী থাকার পরেও মাদরাসাটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয় না। এ কারণে চরম ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা অনুরোধ জানাই।
এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আলী খান বলেন, দক্ষিণ খাওক্ষীর মেহেদীয়া দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। এতে অবকাঠামো উন্নয়নে কোন সরকারি অর্থ বরাদ্দ নেই। জরাজীর্ণ টিনের ঘরে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয়। একটু বাতাস হলেই আতঙ্কে থাকি, কখন যেন চালের টিন ভেঙে পড়ে।
মোঃ আতিকুর রহমান/এমএইচআর/জেআইএম