কোটালীপাড়ায় কাফনের কাপড় পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:৪৯ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২১

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। চাহিদামাফিক টাকা দিতে না পারায় অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

তালিকা থেকে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া এলাকার হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি যাদুঘরের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধন থেকে ওই তালিকা পুনঃ যাচাই-বাছাই করার দাবি তোলা হয়। একইসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

পরে সেখানে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রমের ভাই সাবেক কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শামসুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান, হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রমের বোন মোমেলা বেগম, মোখলেস মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

jagonews24

বক্তারা বলেন, কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের নামে প্রহসন করা হয়েছে। এখানে যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়েছেন এবং যারা চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত হয়েছেন, এর ৯০ ভাগের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। যারা মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন তাদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর যারা চাহিদা মাফিক টাকা দিতে পারেননি তাদের ‘খ’ ও ‘গ’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্থ কমিটির যাচাই-বাছাই বাতিল করে পুনরায় কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করতে হবে।

গত ৩০ জানুয়ারি কোটালীপাড়াসহ গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনী প্রধানসহ ৩৬২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই করা হয়। যাতে ২৬ জনকে ‘গ’ তালিকাভুক্ত করে বাদ ও ১১৮ জনকে ‘খ’ তালিকাভুক্ত করা হয়।

মেহেদী হাসান/জেডএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।