কুকুরের জন্য রান্না হয় চাল-ডাল-মুরগির মাংস
লকডাউনের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের যাতায়াত হাতেগোনা, বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁও। বাজারও বসছে সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মে। বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানও বন্ধ। ফলে খাবার পাচ্ছে না কুকুরগুলো। অভুক্ত থাকা এসব কুকুরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে অ্যানিম্যল লাভার অব পটুয়াখালী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
রাস্তায় ঘুরে ঘুরে যে প্রাণীগুলো উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকত, তারা এখন পড়েছে খাবারের সংকটে। সেসব প্রাণীর জন্য স্বেচ্ছাসেবীরা ১৪ এপ্রিল থেকে সন্ধ্যার পরে খাবার দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পরে স্বেচ্ছাসেবীরা খাবার নিয়ে বের হন। কুকুর দেখলেই খাবার দেন তারা।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহরের লঞ্চঘাট, আদালত পাড়া, পুরাতন বাজার, নিউমার্কেট, নবাব পাড়া এলাকায় খাবার দেয়া হয়।
অ্যানিম্যাল লাভার অব পটুয়াখালীর নওশিন আফরোজ বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে কুকুরের জন্য খাবার তৈরি করা হয়। সে খাবারগুলো সন্ধ্যার পরে দেয়া হয়। করোনার কারণে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ। তাই অভুক্ত থাকছে কুকুরগুলো। না খেতে পেয়ে কুকুরগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ দৃশ্য দেখার পর থেকে খাবার দিচ্ছি। এ কাজ পাঁচজন মিলে পরিচালনা করছি। প্রতিদিন চাল, ডাল ও মুরগির মাংস রান্না করি।
নাইম জানান, ‘করোনায় মানুষের সঙ্গে প্রাণীরাও সংকটে পড়েছে। খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় অনাহারে থাকছে প্রাণীগুলো। খাবারের জন্য কুকুরগুলো রাস্তায় ডাকাডাকি করে। তাই এদের খাবার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। কুকুর খাবার না পেলে মানুষের জন্যও হুমকি হতে পারে। ক্ষুধার্ত কুকুর মানুষকে আক্রমণও করতে পারে।’
এএইচ/এমএইচআর