কিছুটা হেঁটে কিছুটা যানে, মানুষ ছুটছে গ্রামে
সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলছে। সড়কে গণপরিবহনও কম। দূরপাল্লার বাস বন্ধ। তারপরেও ভোগান্তিকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নারী ও শিশুরা।
কোথাও রিকশায়, কোথাও আবার পায়ে হেঁটে, আবার কখনো সিএনজি, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ নানা মাধ্যমে লোকজন গন্তব্যের পথে ছুটছেন।
এদিকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় কয়েক গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে রিকশা কিংবা পায়ে হেঁটে আমিনবাজার সেতু পার হয়ে ঘরমুখী যাত্রীরা চলে আসছেন বিভিন্ন স্থানে। তারপর মাইক্রোবাস এমনকি অ্যাম্বুলেন্সযোগে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।
এছাড়া লোকাল বাস কিংবা অটোতে করেও গ্রামের পথ ধরেছেন অসংখ্য মানুষ। যে যেভাবে পারছেন মরিয়া হয়ে ছুটছেন। মানছেন না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি।
ঢাকার সঙ্গে সংযোগ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েও ঘরমুখো মানুষের এ স্রোত ঠেকাতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উল্টো পুলিশ চেকপোস্ট এড়াতে অসংখ্য মানুষ মানিকগঞ্জ হয়ে আরিচা ঘাট ও পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাতে হেমায়েতপুর হয়ে সিংগাইরের পথ ধরছেন।
অন্যদিকে সামর্থ্যবান লোকজন ব্যক্তিগত গাড়িতে গ্রামের বাড়ি ফেরায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সাভারের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম বলেন, ‘গ্রামের পথে ছুটে চলা মানুষ কোনো বাধাকেই তোয়াক্কা করছে না। তারা স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। মানুষকে সচেতন করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েও কার্যকর ফল মিলছে না।’
আল-মামুন/জেডএইচ/এমএস