নীলফামারীতে টিকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় ২৬৪৫৪ মানুষ
মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নীলফামারী জেলায় বন্ধ হয়ে গেছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। এদিকে জেলার ছয় উপজেলায় দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ২৬ হাজার ৪৫৪ জন।
সোমবার (৩১ মে) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার (২৯ মে) টিকার মজুত শেষ হয়ে যায়। ফলে রোববার (৩০ মে) থেকে স্থগিত করা হয় টিকাদান কর্মসূচি। টিকার বরাদ্দ এলে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ২৬ হাজার ৪৫৪ জন।
জেলায় করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৭২৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। এদিকে ৫০ হাজার ২৭৩ জন মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, গত ২৫ এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এদিকে গত ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হলেও গত ২৯ মে টিকার মজুত শেষ হয়ে যায়। আগামী ২০ দিনের মধ্যে তাদের টিকা দেয়া চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্র মতে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলার সাতটি কেন্দ্রে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৩০ হাজার ৬৬ ও পুরুষ ৪৬ হাজার ৬৬১ জন।
জেলার সাতটি কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকাদানের হিসাবে দেখা যায়, নীলফামারী সদরের জেনারেল হাসাপাতাল কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৩৮২ জন, সৈয়দপুর সিএমএইচ কেন্দ্রে দুই হাজার ৯২৬ জন, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল কেন্দ্রে ৯ হাজার ৯৫ জন, ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৪৫০ জন, ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে আট হাজার ৩৫৫ জন, জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে ১৩ হাজার ১৪৬ জন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে সাত হাজার ৩৭৩ জন টিকা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে মোট এক লাখ ২৭ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
জাহেদুল ইসলাম/এসএমএম/জেআইএম