চুয়াডাঙ্গায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত ৫৭ জনের
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী দামুড়হুদায় সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭ জনের, যা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত।
রোববার (১৩ জুন) রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ১৩২টি নমুনার ফলে আসে। এরমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭ জনের। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৩ জন, আলমডাঙ্গা দুজন ও জীবননগরে সাতজন রয়েছেন।
জানা যায়, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩২২ জন। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭৮ জন, আলমডাঙ্গায় ২৪ জন, দামুড়হুদায় ১৬৫ জন ও জীবনগরে ৫৫ জন রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭৮ জনের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ও ৬৫ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতেলে রেফার্ড করা হয়েছে একজনকে।
আর আলমডাঙ্গা উপজেলার ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন বাড়িতে থেকে, তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ও একজনকে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার ১৬৫ জনের মধ্যে বাড়িতে থেকে ১৪৪ জন, হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন ও রেফার্ড করা হয়েছে একজনকে।
এদিকে জীবননগর উপজেলার ৫৫ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে ও ৫৪ জন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘রোববারের ফলের মধ্যে জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত। এছাড়াও জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। অক্সিজেনেরও কোনো সঙ্কট নেই।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিশেষ করে দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। দরকার হলে পুরো উপজেলায় লকডাউন দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে সোমবার (১৪ জুন) আলোচনায় বসা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার ডুগডুগি ও নাটুদহ পশু হাটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ওইসব গ্রামের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে ও চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এছাড়া চুল কারাখানাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।’
সালাউদ্দীন কাজল/এসএমএম/জেআইএম