ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অক্সিজেন সঙ্কট
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাতের মধ্যেই তরল অক্সিজেন রিফিল না করা গেলে হাসপাতালে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মজুত রাখা ২৬ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন দিয়ে চলছিল ৪১ জন করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। এর মধ্যে প্রায় ৩০ জনের প্রয়োজন হচ্ছে হাই ফ্লো অক্সিজেন।
কিন্তু শনিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে শেষ হয় সব লিকুইড অক্সিজেন। এরপর থেকেই বিকল্প উপায়ে সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘লিকুইড অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার পর আমরা সিলিন্ডার (গ্যাস অক্সিজেন) দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ৯০টি সিলিন্ডার চলছে এবং ২২টি রেডি রাখা হয়েছে। আরও প্রায় ২০টি রিফিলের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে বড়জোর সকাল পর্যন্ত চলবে। রোগীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে একটি সিলিন্ডার মাত্র ৩০ মিনিটেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেইন অক্সিজেন ব্যবস্থা হচ্ছে তরল অক্সিজেন। বার বার এই তরল অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা টালবাহানা করেই যাচ্ছে। বলছে এখনই পাঠাচ্ছি, কিছুক্ষণ পর পাঠাচ্ছি। কিছুক্ষণ আগেও আমাকে বললো অক্সিজেন ট্রাক পাঠিয়েছি রাতের মধ্যেই রিফিল হয়ে যাবে। কিন্তু আদৌ কখন পৌঁছাবে জানি না।’
যদি রাতের মধ্যে এই ট্রাক এসে না পৌঁছায় তাহলে করোনা ইউনিটে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলেও জানান তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো. মুজিবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালে সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। সকালের মধ্যে লিকুইড অক্সিজেনের গাড়ি চলে আসবে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইদহে নতুন করে ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ঝিনাইদহে এখন পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৩০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মারা গেছেন ৬২ জন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এএসএম