লকডাউনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্ট, দর্শক প্রায় ১০ হাজার
চলমান লকডাউনেও প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুটবল টুর্নামেন্ট। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলার সুহিলপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাসের নতুন প্রকোপ রোধে সোমবার (২৮ জুন) থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে যান চলাচল, গণজমায়েত ও বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের দল অংশগ্রহণ করে। সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে অষ্টগ্রাম একাদশ ও সরাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়া কান্দি একাদশের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক (ওসমান) ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর উপস্থিত ছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করে তেলীনগর একাদশ ও আশুগঞ্জ একাদশ ফুটবল দল। খেলাটি উপভোগ করতে সুহিলপুর ইউনিয়ন খেলার মাঠ দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। আয়োজকরা ধারণা করছেন, ১০ হাজারেরও বেশি দর্শক মাঠে খেলা উপভোগ করেন।
এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক (ওসমান) দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘গ্রামবাসী চাপে খেলায় গিয়েছিলাম। এছাড়া সুহিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আমার যাওয়া ঠিক হয়নি।’
টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর। তার বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ফুটবল খেলা ঠিক হয়নি। আমরা এই ঘটনা অবগত নই। আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’
জানতে চাইলে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তিনি বলেন, যেখানে করোনা মোকাবিলায় দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেই সময় জনসমাগম করে ফুটবল খেলা দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস