রাজশাহীতে কমছে সংক্রমণ ও শনাক্তের হার
রাজশাহীতে কমছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় শনাক্ত হয়েছে মাত্র ২৩৪ জন ও সংক্রমণের হারও নেমে এসেছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশে।
বুধবার (৭ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, জুনের প্রথমদিকে করোনার সংক্রমণ ও শনাক্তের হার বেশি থাকলেও মাসের শেষভাগে সংক্রমণের হারও ২০ শতাংশের কিছু কম-বেশি পরিলক্ষিত হয়। আবার জুলাইয়ের প্রথমদিকে করোনার সংক্রমণ ও শনাক্ত হার বাড়লেও আকস্মিকভাবেই কমেছে সংক্রমণ ও শনাক্তের হার।
এক সপ্তাহের পর্যালোচনায় দেখা গেছে- ১ জুলাই সংক্রমিত হয়েছে ৩৭৭ জন ও শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, ২ জুলাই সংক্রমিত হয়েছে ২৪১ জন ও শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ৩ জুলাই সংক্রমিত হয়েছে ১০০ জন ও শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ৪ জুলাই সংক্রমিত হয়েছে ২৬৯ জন ও শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫ জুলাই সংক্রমিত হয়েছে ২৮০ জন ও শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ, ৬ জুলাই সংক্রমিত হয়েছে ৩৪২ জন ও শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ৭ জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৩৪ জন ও শনাক্তের হার মাত্র ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ যা গত কয়েক সপ্তাহের চেয়ে অনেক কম।
এদিকে রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টের সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয় এক হাজার ৩৮২ জনের। এতে ২৩৪ জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। অন্যদিকে জেলায় আরটিপিসিআর মেশিনে ৪৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। জেলার ৯ উপজেলায় মোট র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে ২৫৫ জনের, এতে পজিটিভ হয়েছেন ৫৭ জন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) থেকে ৬৪৮ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৬৯ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। অপরদিকে ৩২ জনের জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে করোনার নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তের বিষয়ে রামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৪ জন করোনা পজিটিভ হন। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১৬ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
সংক্রমণ ও শনাক্ত কমে আসার কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে কমেছে সংক্রমণ ও শনাক্তের হার। এছাড়া সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকেও চেষ্টা চলছে বেশি নমুনা পরীক্ষা ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনার। তাই যত বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে ততই সচেতনতার সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে লকডাউন ও সরকারি বিধিনিষেধ প্রতিপালনও আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফয়সাল আহমেদ/আরএইচ/এএসএম