ফেনীতে শয্যার ৩ গুণেরও বেশি রোগী ভর্তি আইসোলেশন ওয়ার্ডে
ফেনীর করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি আইসোলেশন শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১০৭ জন। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রোগী ও স্বজনদের পক্ষ থেকেও নানা অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ শয্যার বিপরীতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ১০৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৪ জন। উপসর্গ রয়েছে ৭৩ জনের। এসব রোগীর মধ্য ৭৯ জনকে অক্সিজেন সেবা ও ১০ জনকে আইসিইউ সেবা দেয়া হচ্ছে।
ফেনীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে। এ ইউনিটে শুধুমাত্র করোনা উপসর্গে ভোগা ব্যক্তি ও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
শুক্রবার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর চাপ বেশি থাকায় রোগীর শয্যার পাশে মেঝেতে ফোম বিছিয়ে অন্যদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। চার শয্যার কক্ষে ১০ থেকে ১২ জন রোগী গাদাগাদি করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
রোগী ও স্বজনরা জানান, এ ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভ রোগী ও উপসর্গে ভোগা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। করোনা পরীক্ষার পর পজিটিভ হলে আলাদা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও রোগী রাখার জায়গা নেই। আর যাদের নেগেটিভ তারা এসব কক্ষে সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকেন।
স্বজনদের অভিযোগ, একই কক্ষে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে এসে সংক্রমণ বাড়ছে। চিকিৎসক-নার্সরা ঠিকমতো রোগী দেখছেন না বলেও তারা অভিযোগ করেন। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, শুক্রবার পর্যন্ত তিনগুণের বেশি রোগী আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
নুর উল্লাহ কায়সার/এসআর/জিকেএস