করোনা : একদিনে পাবনার দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন পাবনার দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক জার্জিস হোসেন এবং সুজানগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক প্রধান শিক্ষক ওলিউজ্জামান ওলি। দু’জনেরই বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। জার্জিস হোসেন মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আর ওলিউজ্জামান সন্ধ্যায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
জার্জিস হোসেনের ছোট ভাই ডা. সাদেকুর রহমান জানান, জার্জিস হোসেন কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। সোমবার (২৬ জুলাই) থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে তিনি মারা যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জার্জিস হোসেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপাপ্ত প্রধান শিক্ষক। প্রবীণ বিএনপি নেতা জার্জিস হোসেনের মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার বাদ এশা গোকুলনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওলিউজ্জামান ওলি । তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়ে, ও আত্মীয়স্বজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি সুজানগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ওলিউজ্জামান ওলির মৃত্যুর খবরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষকসহ সুজানগরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, সুজানগর পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আব্দুল ওহাব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এক সময়ে তার সহকর্মী আব্দুস সামাদ মাস্টার প্রমুখ।
বুধবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় ভবানীপুর পূর্বপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আমিন ইসলাম/ইএ