জামালপুরে যমুনার পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়াগনঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি চার সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার হাজারো মানুষ।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জেলার ইসলামপুর উপজেলার বন্যার্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেলগাছা, কুলকান্দ, চিনাডুলী, সাবধরী, নোয়ারপাড়া ও পলবান্ধা ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে আছেন। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, শিশুদের খাবার এবং গবাদি পশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

jagonews24

পানিবন্দি কয়েকজন রমিছা, রহিজ উদ্দিন, দুলেনী বেওয়া, আরজিয়াসহ অনেকে বলেন, ‘আমাদের আগে বাড়ি ছিল বেলগাছা ইউনিয়নে। যমুনা নদীতে আমাদের সব কিছু চলে গেছে। ত্রাণের জন্য চিনাডুলীর চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বলেন তোমরা তো বেলগাছার ভোটার আর বেলগাছার চেয়ারম্যানের কাছে গেলে বলে তোমরাতো চিনাডুলির বাসিন্দা।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ‘বন্যার সময় কেউ যেন না খেয়ে থাকে সেজন্য সবার কাছে আমার ফোন নাম্বার দেওয়া আছে। ফোন করলেই তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে যাবে।’

jagonews24

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যার্ত এলাকায় ৯০ মেট্রিকটন চাল, সাড়ে ১২ লাখ নগদ টাকা ও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এফআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।