নামাজের জন্য যাত্রাবিরতি দেবে কিং ফিশার ট্রাভেলস

যাত্রীদের নামাজ পড়ার সময় দিতে হবে। শুধু তাই নয়; চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদেরও নামাজ পড়তে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে এ কাজ করতে হবে কিং ফিশার ট্রাভেলসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সম্প্রতি এমনই একটি আদেশ জারি করেছে কিং ফিশার ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ।
কিং ফিশার ট্রাভেলস সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে খুলনা, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে চলাচল করছে কিং ফিশার ট্রাভেলসের ১১টি বাস। এ বাসে অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা দিনের পর দিন চলাচল করেন। অনেক সময় পথে নামাজের সময় হয়ে গেলে তারা নামাজ আদায় করতে পারেন না। কর্তৃপক্ষের কাছে এমন অভিযোগ এসেছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, যাত্রাপথে যাত্রীদের নামাজ আদায় করার সময় দেওয়া হবে। শুধু যাত্রীরাই নয়, নামাজ আদায় করতে হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
কিং ফিশার ট্রাভেলসের পাইকগাছা শাখার ম্যানেজার শাহজাহান কবীর বলেন, আমাদের সবাইকে সময়মতো নামাজ আদায় করতে হয়। বাস যখন রাস্তায় থাকে তখন নামাজের সময় হলে নিকটবর্তী কোনো মসজিদে নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। নামাজের বিরতির আগে যাত্রীদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, যাত্রীরা নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়ে অনেক খুশি হয়।
কিং ফিশার ট্রাভেলসের জেনারেল ম্যানেজার শামীম খাঁন বলেন, যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে ছয় মাস আগে যশোর কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে এমডি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বলা হয়, যাত্রীসহ গাড়ি ছাড়ার পর যেখানে নামাজের সময় হবে সেখানে নামাজের বিরতি বাধ্যতামূলক। যাত্রীসহ গাড়ির স্টাফ নামাজ আদায় করবেন। ওই বৈঠকের এ নির্দেশনা মৌখিক হলেও তা ছিল খুবই কড়াকড়ি। কিন্তু এখন সেই নিদের্শনা যেন কোনোভাবে অমান্য না হয় সেজন্য কাগজে-কলমে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ৯ অক্টোবর থেকে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কিং ফিশার ট্রাভেলসের এমডি জাহাঙ্গীর আলম করোনা মহামারির প্রথম লকডাউনের আগে সস্ত্রীক ওমরাহ পালন করতে যান। দেশে ফিরেই তিনি সবাইকে নামাজের জন্য তাগাদা দেন। এখন সেই তাগাদা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এসআর/এমএস