ফুটবল নৈপুণ্যে গিনেস বুকে ১০ বার নাম লেখালেন ফয়সাল
একে একে নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙে আর নতুন ইভেন্টে রেকর্ড করে এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১০টি রেকর্ডের মালিক মাগুরার তরুণ মাহামুদুল হাসান ফয়সাল। সবশেষ শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাকে নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফয়সাল। ৩০ সেকেন্ডে কপালের চারপাশে ৪৬ বার ফুটবল ঘুরিয়ে তিনি ১০ম রেকর্ডটি করেন।
এর আগে ‘মোস্ট ফুটবল আর্ম রোল’ ক্যাটাগরিতে ৩০ সেকেন্ডে ৭৭ বার বাহুতে ফুটবল ঘুরিয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন করে নবম রেকর্ড গড়েন ফয়সাল।
এ দুটি বাদেও আটটি গিনেস রেকর্ড রয়েছে এ তরুণের দখলে। যার মধ্যে রয়েছে এক মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার ঘাড়ের ওপর ফুটবল নাচিয়ে ও ধরে রাখা, এক মিনিটে ৬৬ বার ফুটবল ঘাড়ের ওপর নাচানো, এক মিনিটে দুই হাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার (১৪৪) বাস্কেটবল ঘোরানো।

ফয়সাল ফুটবল ফ্রি স্টাইলার হিসেবে প্রথম রেকর্ডটি গড়েন ২০১৮ সালে। সেই রেকর্ডটি ছিল মোস্ট ফুটবল আর্ম রোল ইন ওয়ান মিনিট, ১৩৪ বার।
মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকাটনিক্স বিভাগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলে অধ্যায়নরত মাহামুদুল হাসানের বাড়ি সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে। বাবা সোহেল রানা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। মা মঞ্জুয়ারা খানম গৃহিণী।
ফুটবল ফ্রি স্টাইলার মাহামুদুল হাসানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো পেশাদারি প্রশিক্ষণ ছাড়াই এসব কীর্তি গড়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল। ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হবেন। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় তা হয়ে ওঠেনি। এরপর শুরু করেন ফুটবল নিয়ে বিভিন্ন খেলা। খেলতে খেলতে ফুটবল নিয়ে নানা কৌশলের প্রয়োগ শুরু করেন। তখনই মাথায় আসে বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করে রেকর্ড গড়বেন।

ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, নানা, নানিসহ পরিবারের সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার স্বপ্ন, এরকম ২৫টি সার্টিফিকেট নিয়ে সবার সামনে হাজির হওয়া। আমি পুরো বিশ্বের কাছে নিজের গ্রাম, জেলা, সর্বোপরি বাংলাদেশের পতাকাকে তুলে ধরতে চাই।
ফয়সালের বাবা সোহেল রানা বলেন, ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি খুবই আগ্রহী। এ রেকর্ডের জন্য সে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এমনকি ওর পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। তারপরও আমি উৎসাহিত করেছি। আজ ওর সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, মাগুরার তরুণ ফয়সালের রেকর্ড আমাদের গর্বিত করেছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত।
এসআর/জেআইএম