হবিগঞ্জে এক ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীই যুক্তরাজ্য প্রবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২১

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে ১৪ জনই প্রবাসী। এছাড়া একটি ইউনিয়নের ছয় প্রার্থীর সবাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এদের কেউ নৌকা, কেউবা লাঙল, কেউ স্বতন্ত্র এবং কেউবা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলায় জাতীয় সংসদ থেকে স্থানীয় সরকার- প্রায় সব নির্বাচনেই প্রবাসী প্রার্থীরা এসে অংশ নেন। অনেকেই জয়ীও হন। এদের অনেকে নির্বাচন এলেই দেশে এসে হাজির হন। আবার অনেকে মাঝে মধ্যে বাড়ি এসে ঘুরে যান।

উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা সবাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আহমদ, বিদ্রোহী প্রার্থী আবু তালিম ও মো. আবদুল মুকিত, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল হুদা চৌধুরী, শেখ মোহাম্মদ আবদুল গফুর ও বিএনপি নেতা সৈয়দ খালেদুর রহমান।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে তিনজন প্রবাসী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন নৌকার প্রার্থী মো. আছাবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছায়েদ উদ্দিন ও মো. মোস্তফা কামাল।

বাকি পাঁচ প্রবাসী প্রার্থী হলেন- দিঘলবাক ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল গফফার, দেবপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কুহিনুর মিয়া, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির (লাঙল) প্রার্থী মুফতি মিয়া, বাউশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুনেদ হোসেন চৌধুরী ও বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদার আহমদ।

উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলী আহমদ মুসা বলেন, গত নির্বাচনেও আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছিলাম। এবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছি। আমাদের সব প্রার্থীর মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় আছে। একই ইউনিয়নে আমার বিপক্ষে লড়ছে সম্বন্ধী আব্দুল মুকিত।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মুকিত বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয় না। সব প্রার্থীর মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক আছে। আমরা হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচনে যার যার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যও বজায় আছে।

প্রবাসীদের দেশে এসে নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে দেশের প্রতি তাদের মমত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আসলে দ্বৈত নাগরিক হলে অংশ নিতে পারবে না এমন বাধ্যবাধকতা নেই। এছাড়া নবীগঞ্জ উপজেলা একটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। এমনও দেখেছি শুধু চেয়ারম্যান নয়, সাধারণ সদস্য পদেও প্রবাসী প্রার্থীরা অংশ নেন। এটি একটি ভালো দিক। এতে ক্রমান্বয়ে দেশের প্রতি তাদের মমত্ববোধ বাড়বে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।