পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও ভোট দিলেন জয়নুদ্দিন
মো. জয়নুদ্দিন মিয়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের ফাতপুরা গ্রামের বাসিন্দা। ৬৬ বছরের এ বৃদ্ধ পেশায় একজন কৃষক। দূর সম্পর্কের এক ভাতিজা আবুল কাশেম নিজ গ্রাম থেকে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করবে বলে তার সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি এতে সম্মতি দিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত ভাতিজার পক্ষ নিয়ে মাঠে থাকবেন এবং ঘোড়ায় চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভাতিজাকে ভোট দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
কিন্তু নির্বাচনের তিন মাস আগে জয়নুদ্দিন মিয়ার বুকের বাম পাশে ব্যথা উঠলে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। নিমিষেই ভাতিজার পাশে থেকে নির্বাচন করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
তবে নির্বাচনে পাশে না থাকতে পারলেও ঠেলাগাড়িতে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভাতিজার ফুটবল মার্কায় ভোট দিয়েছে জয়নুদ্দিন। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আলমপুর দোয়াদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তিনি ভোট দেন।

প্যারালাইজড মো. জয়নুদ্দিন মিয়ার ভাতিজা মো. আনোয়ার মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গত তিন মাস আগে প্যারালাইসিস হয়ে আমার চাচা চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। সেই জন্য ঠেলাগাড়িতে চাচাকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আবুল কাসেম বলেন, চাচার অনেক স্বপ্ন ছিল, আমাকে নির্বাচনে জয়ী করে ঘোড়ায় চড়ে পুরো গ্রাম ঘুরবো। কিন্তু সেটা হলো না। তবে আমি আশা করি আমি নির্বাচনে জয়ী হবো। এতে আমার চাচা কিছুটা হলেও শান্তি পাবেন।
লিপসন আহমেদ/এসজে/জিকেএস