মোংলায় কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২২
ঘাটে আসা অনেকের মুখে মাস্ক

বাগেরহাটের মোংলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোনো করোনা সংক্রমণের ভয়। তাই কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। কিছুদিন আগেও সবার মুখে মাস্ক ছিল। তবে এখন বেশিরভাগ নারী-পুরুষের মুখেই নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) মোংলা শহরের মামার ঘাট, চৌধুরী মোড়, কলেজ মোড়, হাসপাতাল রোড, উপজেলা রোড, শেখ আব্দুল হাই সড়ক, (মেইন রোড) ও শাহাদাৎ মোড় এলাকাসহ বাজার এলকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া শপিং মার্কেটেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

শপিং করতে আশা সনি বেগম নামে একজন বলেন এখন আর করোনা নাই। তাই আর মুখে মাস্ক পরা লাগে না। এছাড়া আমার টিকা দেওয়া, আমার মাস্ক না পরলেও কোনো সমস্যা নাই।

বাজার করতে আশা ইউনুছ আলী বলেন, আমার মাস্ক আছে পকেটে। আমি মাস্ক পরে কথা বলতে পারি না। ছুটির দিনে বাজার করতে আসছি তো তাই মাস্ক খুলে পকেটে রেখেছি।

jagonews24

এছাড়া আরও কয়েকজন জনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন আল্লাহ যেদিন ডাক দেবেন সেদিন কেউ আর ধরে রাখতে পারবে না। মাস্ক পরে আর কী লাভ?

তাদের ভাষ্যে মনে হচ্ছে করোনা নিয়ে মোংলার মানুষ এখন ভয়শূন্য। করোনা বলতে কোনো কিছুই নেই মোংলায়। কিন্তু করোনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা সাধারণ মানুষের চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

করোনা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (গত দুই বছরে) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০ জন মানুষ। এরপরও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোনো সচেতনতা। এ নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতোষ বিশ্বাস।

jagonews24

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দুই দফায় করোনার ভয়াবহতা দেখার পরও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সচেতন হচ্ছে না। আবার অনেকে টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বেপরোয়া ভাব দেখাচ্ছে। তারা মনে করে টিকা নিয়েছে তাই তাদের করোনা আর হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আর কী লাভ।

ডা. জীবিতোষ বিশ্বাস আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে মোংলায় ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৪ দশমিক। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৯৮০ জন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘আমরা দু-একদিনের মধ্যে অভিযানে নামবো। আর কোনো অজুহাত মানবো না।’

মো. এরশাদ হোসেন রনি/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।