পাবনায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২২
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান (মেরুন রঙের পাঞ্জাবি পরা) ও দুপাশে তার অনুসারীরা

পাবনার বহুল আলোচিত ইয়াসিন আলম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ (৫৫) তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবু সাঈদ খান সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ভাঁড়ারা ইউনিয়নের বিজয়রামপুর গ্রামের মহির বিশ্বাসের ছেলে নাদের বিশ্বাস( ৫৩), নলদহ গ্রামের জেলেমুদ্দিনের ছেলের সমো (৩১)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র গত ১১ ডিসেম্বর সকালে নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান মাহামুদ খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে ইয়াসিন আলম নিহত হন। ইয়াসিন আলম খানও চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

এ ঘটনায় ইয়াসিন আলমের বাবা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ ৩৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এদের মধ্যে পাঁচজন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোমবার আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় বিচারক দুজনের জামিন মঞ্জুর করলেও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

জামিন পাওয়া দুজন হলেন- ভাঁড়ারা ইউপির দিঘলকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলম (৩৩), চকভাড়ারা গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে শামসুল হোসেন (৪০)।

এদিকে চেয়ারম্যানকে দেখার জন্য আদালত চত্বরে তার কয়েকশ’ অনুসারী ভিড় করেন। এ সময় পুলিশি নিরাপত্তায় আসামিদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।