‘ঘুসখোরের বাড়িতে স্টিকার লাগালে সন্তানকে মুখ দেখাতে পারবে না’
‘আমি যখন ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে কথা বলি, ঘুসখোরের দুর্নীতির ইতিহাস বলি, তখন চোরের দল বড় বড় সমিতি বানিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে আমাকে হুমকি দেয়। চোরকে চোর বললে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দেয়, মানববন্ধন করে, এমপি পদ থেকে পদত্যাগের জন্য হুমকি দেয়।’
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) জামালপুরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম।
জামালপুর-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতেন, তখন ঘুসখোররা তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারতো না। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন, তখন তারা কোনো কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
মির্জা আজম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, না হলে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। বেতনের টাকায় না পুষলে চাকরি ছেড়ে ভিক্ষা করে খেতে হবে। দুর্নীতি করে খাওয়ার চেয়ে ভিক্ষা করে খাওয়ার মর্যাদা অনেক বেশি।
এসময় আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমরা যদি ঘুসখোরের বাড়ি ও অফিসে স্টিকার লাগিয়ে চিহ্নিত করে দেই- ‘যে এটা ঘুসখোরের বাড়ি বা ঘুসখোরের অফিস’, তাহলে তারা যত টাকার মালিকই হোক না কেন নিজের পরিবার ও সন্তানদের সামনে বা কারো সামনে মুখ দেখতে পারবে না। অনেক ঘুসখোর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মসজিদে যান। যখন দেখা যাবে ঘুসখোর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে, তখন কেউ তার পাশে দাঁড়িয়ে নামাজও পড়বে না।’
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মির্জা আজম। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মো. নাসিম উদ্দিন/জেডএইচ/