বান্দরবানে চাঁদা নিয়ে চালককে মারধর, সিএনজি-মাহিন্দ্রা চলাচল বন্ধ
বান্দরবানে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-মাহিন্দ্রার মালিক পক্ষের চেকারের মারধরে দুই চালক আহত হয়েছেন।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ও বিকেল ৩টায় দুদফায় বান্দরবান বাস স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে জেলায় সিএনজি-মাহিন্দ্রা চালানো বন্ধ রেখেছেন চালক-শ্রমিকরা।
বান্দরবান থ্রি-হুইল সিএনজি-মহেন্দ্র শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. শহীদ জাগো নিউজকে বলেন, লাইনের জন্য প্রতি গাড়িতে মাসিক ৫০০ টাকা করে চাঁদা দেওয়া হয়। এরপরও মালিক পক্ষের চেকার পেঢ়ান, সাজ্জাদ, রুবেলরা ভাড়া নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতি গাড়ি থেকে ২০, ৫০ বা ১০০ টাকা আদায় করেন। এ নয়ে আজ দুপুর ২টায় কথা কাটাকাটি হলে চালক জমির উদ্দীনকে (৩৪) মারধর করেন চেকার পেঢান ও সাজ্জাদ।
সমিতির সভাপতি আরও বলেন, এ নিয়ে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে হোসেনু মারমা ও জাফরের নেতৃত্বে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও আবার বিকেল ৩ টায় চালক নোটন দাশ কানুকে (৩৮) লৌহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। কানু এখন বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে বাস স্টেশন থেকে কেরানী হাট, বালাঘাটা ও ট্রফিক মোড় এলাকার সব থ্রি-হুইল সিএনজি-মাহিন্দ্রার চলাচল বন্ধ আছে। এ হামলার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত বান্দরবানের থ্রি-হুইল সিএনজি-মাহিন্দ্রা চালানো বন্ধ থাকবে।
আহত চালক নোটন দাশ অভিযোগ করে বলেন, ‘পেঢ়ান, সাজ্জাদ ও রুবেলসহ ১০ থেকে ১২ জন মিলে লৌহার রড় দিয়ে আমাকে মারধর করে।’
অভিযুক্ত পেঢান বলেন, ‘গাড়ি চালানোর জন্য মালিক পক্ষ থেকে বিভিন্ন খাতে টাকা দিতে হয় বিধায় টাকাগুলো কালেকশন করতে হয়। একজনকে থাপ্পড় মেরেছি।তবে কাউকে রড দিয়ে আঘাত করিনি।’
এ বিষয়ে মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উছেনু মারমার মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত পেঢ়ান নামে এক ব্যক্তিকে ধরার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসজে/এএসএম