৩ কর্মচারী দিয়ে চলছে বান্দরবান ডায়াবেটিস হাসপাতাল
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াই অফিস সহকারী ও ল্যাব টেকনেশিয়ান দিয়ে চলছে বান্দরবান ডায়াবেটিস হাসপাতাল। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। তারা জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রায় রোগীশূন্য বান্দরবান ডায়াবেটিস হাসপাতাল। অফিস সহকারী এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়া তেমন কারো দেখা মেলেনি। হাসপাতালের নিচতলায় রয়েছে রিকশা গ্যারেজ ও সুগন্ধা বাস সার্ভিসের কাউন্টার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবানে মহিলা ক্লাবের জরাজীর্ণ কক্ষ থেকে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। পরে ২০১৫-১৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে বান্দরবান সদরের ৩ নম্বর এলাকায় তিন তলাবিশিষ্ট ডায়াবেটিস হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। তবে চিকিৎসক-নার্স না থাকায় ব্লাড সুগার পরীক্ষা ছাড়া তেমন কোনো সেবা পান না ডায়াবেটিস রোগীরা। অফিস সহকারী, ল্যাব টেকনেশিয়ান ও নৈশপ্রহরী দিয়ে চলছে হাসপাতালটি।

বান্দরবানে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান জানা না গেলেও ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) একটি জরিপে জানা যায়, দেশে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি ১১ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এতে ধারণা করা যায়, বান্দরবানে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়।

বান্দরবান ডায়াবেটিস হাসপাতালের অফিস সহকারী ওয়াংম্রা থুই মারমা জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে তিনিসহ মোট তিনজন কর্মচারী কর্মরত আছেন হাসপাতালটিতে। চিকিৎসক না থাকায় তেমন কোনো চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না রোগীদের। আগে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী সেবা নিতে এলেও এখন গড়ে মাত্র পাঁচজনও আসেন না।
এ বিষয়ে বান্দরবান পৌরমেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনা করতে প্রতিদিন ১৩০০ টাকা ব্যয় হয়। তার বিপরীতে আয় হয় মাত্র ২০০ থকে ৩০০ টাকা। এ বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম, চিকিৎসক নিয়োগ ও নতুন কমিঠি গঠন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআর/এএসএম