কাউন্সিলর হত্যা মামলার সব আসামি খালাস
মেহেরপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বিপুল হত্যা মামলার সব আসামিকেই বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ ওয়ালিউল ইসলাম এ আদেশ দেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, যুবলীগ নেতা ইয়ানুস শেখ, মাহফুজ আলী, আফজাল হোসেন লিখন ও বাদশা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের কাসারি পাড়াস্থ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক) শহিদুল ইসলাম পেরেশানের বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর পৌরসভার ৮নং কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল যোগ দেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে অজ্ঞাত চার-পাঁচজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সেখানে প্রবেশ করে তাকে লক্ষ্য করে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি করে। এতে তার মাথায় ও বুকে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দুদিন পর বিপুলের স্ত্রী বেলী খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুর যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, অর্থ সম্পাদক ও বর্তমান মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মো. মাহাফুজুর রহমান রিটন, সহপ্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পেরেশানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন ও তার শ্যালক আরিফুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনামকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর হয়। তদন্ত শেষে শহিদুল ইসলাম পেরেশান, তার ভাই বাদশা, ইয়ানুস, লিখন, মাহফুজ ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনামকে আসামি করে চার্জশিট দেয় সিআইডি।
রায়ের সময় সরকারি পক্ষে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে ইয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলামসহ একাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের আদালতের প্রতি আস্থা রয়েছে। বিচারক মামলা পর্যবেক্ষণ করে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায় পেয়ে সন্তুষ্ট।
আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, বিচারক চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে পরবর্তীতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
আসিফ ইকবাল/এসজে/এএসএম