‘ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে, লাভ হবে না’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন- ১৫ আগস্টের পর দেশকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা করা হয়েছিলো। যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতেও ছিল বাংলাদেশের পতাকা। ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। তবে, বঙ্গবন্ধুকন্যা যেদিন এলেন সেদিন থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেন। আজকে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাকে ভোট দিলে তিনি বাংলাদেশকে বদলে দেবেন বলেছেন। যথার্থভাবেই আজ বদলে দিয়েছেন। এ জন্যই আমরা সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছি।
তবে, ষড়যন্ত্র চলছে। এখনো চলছে ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা। যতই ষড়যন্ত্র করুক, বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। যতদিন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বেঁচে আছে যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে আছে, কোনো লাভ হবে না। বারবার সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা পরিষদ মাঠে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে। যতদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলবে ততদিন কেউ আর বাংলাদেশকে রুখতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ ও মুক্তিযোদ্ধারে জন্য বর্তমান সরকারে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাাঙালি বীরের জাতি, বাঙালি যুদ্ধ করেছে অনেক বার। কিন্তু মূল স্বাধীনতা হাজার বছরেও আসেনি। যেটা আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু দেখিয়ে দিয়েছেন। আমরা সে জন্য স্বাধীনতার ফসল পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন সফল কর দিয়েছেন বলেই আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেড়েছি।
একদিকে, অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসূলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লৎফর রহমান, মিলনমেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. শামসুল হক কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আজহার হোসেন প্রমুখ। এছাড়া মিলনমেলায় অংশ নেন জেলার শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এমএএইচ/