জামালপুরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে, মাইকিংয়ে দুঃখ প্রকাশ কর্তৃপক্ষের
জামালপুরে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও দুঃখ প্রকাশ করে মাইকিং করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একাধিক সূত্র জানায়, গ্যাস স্বল্পতা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতিজনিত কারণে আরপিসিএল ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদনের তুলনায় যৎসামান্য উৎপাদন ও ৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জামালপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। জেলার সদর, সরিষাবাড়ী, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মাত্র ৭০ মেগাওয়াট।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। দিনে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট সাধারণ ব্যাপার হলেও গত কয়েকদিনে বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। বকশীগঞ্জের মেরুরচর, সাধুরপাড়া ও বগারচর গ্রামে গত তিনদিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো।
মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এমন লোডশেডিং আগে কখনো দেখিনি। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে ভোগান্তিতে রয়েছি। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আরও বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে।
জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রথম রোজা থেকেই এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড বন্ধ থাকায় এ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ প্ল্যান্ট থেকে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও গত কয়েকদিন ধরে এখান থেকে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে চাহিদার তুলনায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/এএসএম