মেহেরপুরে সবজির বাজারে আগুন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২২
গাংনী বাজারের একটি দোকানে সাজিয়ে রাখা সবজি

রমজান শুরু হতেই মেহেরপুরে সবজির দাম আকাশচুম্বী। পেপে, শসা আর বেগুনের বাজারে আগুন। কেজিপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

প্রশাসনিক কোনো নজরদারি না থাকায় সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে প্রশাসন বলছে, বাজার মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মেহেরপুরের গাংনীর কয়েকটি হাট-বাজারে দেখা গেছে, রোজা শুরুর আগে যে বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, সে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। রমজানের একদিন আগেও শসা বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে, সেই একই শসা রমজান শুরু হতেই বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া, করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লালশাক ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ডাটা শাক ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

লেবু ৪০ টাকা হালি, কাঁচা কলার হালি ৪৫ টাকা, সজনে ডাটা ১২০ টাকা কেজি, বাঁধা কপি ৫৫ টাকা পিস দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। একই চিত্র দেখা গেছে মেহেরপুর কাঁচা বাজারেও।

এদিকে, পেঁয়াজ ও আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় সুখ সাগর বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা ও দেশীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ বেড়েছে বেশ। বর্তমান বাজারে সেটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা পোয়া অর্থাৎ ১০০ টাকা কেজি। সরকার ঘোষিত মূল্যতালিকা থাকলেও তেল, লবন, চিনি, ছোলা, মসলা, বেসন ইত্যাদি কিছুটা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজানে মাছের দাম বাড়েনি। আগে যে দামে মাছ বিক্রি হয়েছে রমজানেও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারেও মাছের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাছ ১০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া রমজান উপলক্ষে কোনো ধরনের মাংসের দাম বাড়েনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসূমী খানম বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিকবার মিটিং করে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাজারও মনিটরিং করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার কেউ চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন তৎপর। বাজারও মনিটরিং করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার কেউ চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব পণ্যের সরবরাহ কম রয়েছে সেসব পণ্যের দাম বেড়েছে।

আসিফ ইকবাল/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।