সেই কুলসুম এখন ম্যারিও, ৫০ বছর পর সুইজারল্যান্ড থেকে ভোলায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২২
দীর্ঘ ৫০ বছর পর ভোলায় গ্রামের বাড়িতে কুলসুম

সময়টা ১৯৭৩ সাল। বাবা মো. ইউসুফের মৃত্যুর পর চাচার পরামর্শে চার বোন ও দুই ভাইসহ মায়ের সঙ্গে ভোলা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান কুলসুম। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাঠপট্টিতে একটি ছোট্ট ঘরে ছয় সন্তান নিয়ে থাকা শুরু করেন মা মাফিয়া বেগম।

সংসারের অভাবের কারণে কিছুদিন পর কুলসুম ও তার ছোট বোন সুমির আশ্রয় হয় একটি এতিমখানায়। তখন কুলসুমের বয়স পাঁচ বছর। সুমির বয়স তিন বছর। পরে এতিমখানা থেকে দুই বোনকে দত্তক নেয় এক সুইস দম্পতি।

jagonews24

দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বুধবার (২০ এপ্রিল) কুলসুম (বর্তমান নাম ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ) সুইজারল্যান্ড থেকে ভোলায় ফিরেছেন।

তার বাবার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চটিয়া গ্রামের মনু ফকির বাড়ি।

কুলসুমের গ্রামের বাড়ি ফিরে আসার খবরে গ্রামজুড়ে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কুলসুম ও তার স্বামী সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা আন্দে সিমন ভারমুটকে গ্রামের বাড়ির পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তারা আসবেন বলে বাড়ি সাজানো হয়।

তবে মায়ের সঙ্গে গ্রামে ফিরতে পারেননি কুলসুম। তার মা মাফিয়া বেগমের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর এবং তিনি অসুস্থ। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে স্বামী নিয়েই গ্রামের বাড়িতে আসেন কুলসুম।

কুলসুমের ছোট চাচা আব্দুল রব জাগো নিউজকে বলের, ‘দীর্ঘ ৪৫ বছর পর আমার ভাতিজিকে দেখতে পেয়েছি। সে আমাকে প্রথমে চিনতে পারেনি। পরে চিনতে পেরেছে। সে ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি হয়েছি।’

jagonews24

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ঢুকেই বাবার কবর জিয়ারত করে কুলসুম। এরপর সবার সঙ্গে একে একে দেখা করে। আমরা তার ভাষা বুঝতে পারি না। কিন্তু ঢাকার সাংবাদিক মনজুরুল করিম ভাই তার কথা আমাদের বুঝিয়ে দেন।’

সকাল ৮টার দিকে স্বামীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন কুলসুম। পরে দুপুর ১টার দিকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

স্থানীয় মো. মাইনুল জাগো নিউজকে বলেন, কুলসুমের গ্রামের বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে আমরা তাকে দেখতে আসি। আমরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেই।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।