শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যুক্ত হলো আরও একটি রোরো ফেরি
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যুক্ত হয়েছে এনায়েতপুরী নামের আরও একটি রোরো ফেরি। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ফেরিটি শিমুলিয়াঘাটে এসে যুক্ত হয়। বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি নৌরুটে বহরে ফেরি সংখ্যা দাঁড়ালো ১০টিতে। দুপুর ১টার দিকে ফেরিটি দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হয়।
এনিয়ে গত তিনদিনে এ রুটে যুক্ত হলো তিনটি ফেরি। এর আগে গত মঙ্গলবার মিনি রোরো ফেরি বেগম রোকেয়া ও বুধবার ছোট ফেরি ফরিদপুর বহরে যুক্ত হয়।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের ৯টি ফেরি ছিল। আশা করছি ১০টি ফেরি দিয়ে সব যাত্রীকে সুন্দরভাবেই পারাপার করতে পারবো। যেহেতু বাস-ট্রাক শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি রুটে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাইভেটকার, মাইক্রো এসব গাড়ি পারাপার হবে। যাত্রীরা যদি লঞ্চ ব্যবহার করে এবং ছোট গাড়িগুলো আমরা ফেরিতে পারাপার করি সেক্ষেত্রে ঘরমুখো মানুষকে সুন্দরভাবে পারাপার করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা ১০টি ও রাতে সাতটি ফেরি চলাচল করতে পারবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডাব্লিউটিএ আছে। সবাই মিলে সোচ্চার আছি। সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হবে। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েই চলছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে। তবে শিমুলিয়া-মাজিকান্দির সঙ্গে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু হওয়ায় যানবাহন পারাপারে গতি বেড়েছে। ফলে রাতের বেলা অপেক্ষা করতে না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ঘাটে যানবাহনের চাপ ছিল অনেকটাই কম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১০টার দিকে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কমে আসে। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে দেখা যায় যাত্রীদের ক্রমাগত আগমন অব্যাহত রয়েছে।

বিআইডাব্লিউসিটি সূত্র জানায়, একটি রোরে, দুই নৌরুটে দুটি মিনি রোরো, দুটি ডাম্প ও দুটি কেটাইপসহ ১০টি ফেরি সচল রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান, আজ পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/আরএইচ/জিকেএস