একে অপরকে থাপড়ালেন প্যানেল মেয়র-ইউপি চেয়ারম্যান
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় দুই সদস্যের মধ্যে পাল্টাপাল্টি চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সমন্বয় সভা শেষে দুপুরে খাওয়ার বিরতির সময় প্যানেল মেয়র আব্দুর রাজ্জাক রাজার সঙ্গে সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ. জলিলের কোনো একটি বিষয়ে তর্ক বেধে যায়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আ. জলিলের গালে চড় মারেন প্যানেল মেয়র আব্দুর রাজ্জাক। এ ঘটনায় সভায় হট্টগোল বেধে যায়। আ. জলিলও পাল্টা চড় মারেন আব্দুর রাজ্জাকের গালে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য দপ্তরের প্রধান এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন সদর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে থানায় নিয়ে যান।
বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আব্দুর রাজ্জাক রাজা সদর থানায় অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে টেলিফোনে যোগাযোগে করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিল জাগো নিউজকে বলেন, তিনি থানায় অবস্থান করছেন এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ দুঃখজনক। বিষয়টি আইনগতভাবে ফয়সালা হওয়া উচিত।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্যানেল মেয়র আব্দুল রাজ্জাক রাজাকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বি এম খোরশেদ/এসআর/জিকেএস
