সেতু না থাকায় আত্মীয়তা করতে চায় না কেউ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ০৫ জুন ২০২২
জামালপুরের তিন উপজেলার প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন দড়িটানা নৌকা

একটি সেতুর অভাবে বছরের পর বছর দুর্ভোগের শিকার জামালপুরের তিনটি উপজেলার প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ। সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় দড়িটানা নৌকাই একমাত্র ভরসা। ফলে গ্রামে সম্বন্ধ করতে চান না কেউ। এ নিয়ে দুঃখের শেষ নেই গ্রামবাসীর। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের ভাটি কলকিহারা এবং ফকিরপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। নদের দুই পাড়ের একাংশ উপজেলার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বিচ্ছিন্ন রয়েছে অপর পাশ।

সেতু না থাকায় আত্মীয়তা করতে চায় না কেউ

একই অবস্থা দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার কিছু অংশ। যাদের চলাচলের একমাত্র বাহন দড়িটানা নৌকা। নৌকায় করে প্রতিদিন পারাপার হয় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

স্থানীয় কৃষক আবুবকর, আলতাফ হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, ‘নদীতে একটি সেতু থাকলে উপজেলায় যেতে সময় লাগতো ১০ মিনিট। অথচ নৌকায় করে উপজেলায় যেতে লাগে দেড় ঘণ্টারও বেশি। এজন্য এ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কেউ আত্মীয়তা করতে চান না।’

সেতু না থাকায় আত্মীয়তা করতে চায় না কেউ

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতু না থাকায় জরুরি রোগীদের সদরে আনতে অনেক সময় লাগে। অনেকে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। তারা বলেন, একটি সেতু হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব হতো।

৭ নম্বর মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। তিনি এ ইউনিয়নে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। যেহেতু সেতুর অভাবে এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে, তাই নতুন আত্মীয়তা করার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক।’

সেতু না থাকায় আত্মীয়তা করতে চায় না কেউ

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান জাগো নিউজকে বলেন, এরই মধ্যে এ এলাকায় সেতু এবং রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিগগির রাস্তাগুলোর কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক জাগো নিউজকে বলেন, নদীর ওপর ৩০০ মিটারের একটি সেতুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি পাস হলে খুব শিগগির সেতুর কাজ শুরু করা হবে।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।