দাম বেশি হলেও ক্রেতার পছন্দ ছোট গরু
আর মাত্র তিন দিন পর ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে জামালপুরের পশুহাটগুলো। হাটে বিভিন্ন সাইজের গরু আসছে। তবে দাম একটু বেশি হলেও ছোট গরুর দিকে ছুটছেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোটবড় নানা জাতের পশুর সমাহার। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন। কেউ আবার কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি। তাই বেচাকেনা সেভাবে জমে ওঠেনি। ৫০-৯০ হাজারের মধ্যে দেশি জাতের ছোট গরুর বিক্রি বেশি হচ্ছে।
গরু কিনতে আসা ফজর আলী বলেন, ‘হাটে আজকেই প্রথম এলাম। ছোট গরুর দাম একটু বেশি। বড় গরুর দাম গতবারের তুলনায় অনেক কম।’

কথা হয় আব্দুর রহিম নামের এক বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শখ করে বেশ কয়েকটি গরু লালন-পালন করেছি। কিছুটা লাভের আশায় গরুগুলো হাটে নিয়ে এসেছি। কিন্তু দাম বেশির কথা বলে কেউ নিতে চাচ্ছেন না।’

কথা হয় সাঈদ হাসান বাচ্চু নামে স্থানীয় এক বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে সাতটি গরু কিনেছিলাম। ঈদের বাজারে গরুগুলো ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ভেবেছিলাম গরুর দাম আরও অনেক বেশি হবে। খাদ্যের দাম বাড়লেও এবার গরুর দাম বাড়েনি।’
আওনা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসাইন আহমেদ বলেন, এ কয়েকদিন তিনি জেলার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরেছেন। মাঝারি গরুর দাম মোটামুটি ঠিক থাকলেও, ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। আজকের হাটে তিনি নিজেও ৮ থেকে ১০টি গরু দেখেছেন। সেখানে ছোট গরুর চাহিদাই একটু বেশি।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/জেআইএম